মানবপাচার করছে নির্বিঘ্নে কাটাখালীর কোরবান আলী : গ্রেপ্তারে বেরিয়ে আসবে ফিলে চমকানো তথ্য

এম বশর চৌধুরী. উখিয়া::
তাবলীগ জামায়াতের আমির সেজে গত কয়েক মাসের ব্যবধানে শতাধিক যুবক কৌশলে মালয়েশিয়া পাচার করেছে টেকনাফ উপজেলার কাটাখালী উলুবনিয়া মনির ঘোনা এলাকার মৃত নাজির হোছনের ছেলে কোরবান আলী। এক সময়ের কাঠচোর সন্ত্রাসী উক্ত কোরবান আলী গত কয়েকমাস পূর্ব থেকে নিজেকে তাবলীগ জামায়াতের আমির পরিচয় দিয়ে টেকনাফ উপজেলার কাটাখালী, ঘোনার পাড়া, মনির ঘোনা, উলুবনিয়া, খারাইঙ্গাঘোনা, ডেইঙ্গা কাটা, হোয়াইক্যং, উখিয়া উপজেলার পালংখালী, রহমতের বিল, মোছারখোলা, আনজুমান পাড়া, পাতাবাড়ী সহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে বেকার যুবক সংগ্রহ করে ফুসলিয়ে টেকনাফের সহপরীর দ্বীপ ঘাট সহ বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে সাগর পথে মালয়েশিয়া মানব পাচার করে আসছেন। পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব সহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ধরা ছোয়ার বাইরে থাকা কুখ্যাত এ মানব পাচারকারী সাগর পথে মানব পাচার করে থাইল্যান্ডের বনাঞ্চলে আটক রেখে অভিবাবকদের নিকট থেকে জিম্মি করে আদায় করে থাকে মোটা অংকের মুক্তি পন। অসহায় অভিবাকরা নিজেদের আদরের সন্তানদের মুক্ত করার জন্য সহায় সম্বল বিক্রি এবং ছড়াসুদে টাকা ধার নিয়ে তুলে দিচ্ছে উক্ত কোরবান আলীর হাতে। গত এক মাসে উক্ত কোরবান আলী কাটাখালী এলাকার বিভিন্ন মসজিদে বসে অভিবাবকদের নিকট থেকে কমপক্ষে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। যারা টাকা দিতে অপারগ এবং বিলম্বে টাকা প্রদান করলে তাদের পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। শুধু তাই নয়, উক্ত দালালের দাবীকৃত টাকা দিতে না পারায় কাটাখালী সহ আশ পার্শ্বের গ্রামের অর্ধ শতাধিক যুবকের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে গেছে, নিখোঁজ রয়েছে অন্তত ২০ জন যুবক। যার কারনে অভিবাবকরা রয়েছে আতংকে। এদিকে উক্ত কোরবান আলীর সহযোগী হিসাবে দীর্ঘ দিন ধরে উখিয়া টেকনাফের বিভিন্ন সমুদ্র পয়েন্ট দিয়ে সাগর পথে মানব পাচার করে আসছেন, মনখালীর বক্কর ডাকাত, নুরুল আবছার ধইল্যা, বশরত আলীর ছেলে মোহাম্মদ হোছন প্রঃ ফেসুক্রুরী (৪৫), মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দু রাজ্জাক (২৮), মোঃ ফয়সাল (৩২), মোহাম্মদ হোছন (৩৫), তোফাইল আহম্মদ, বাহাদুর, কামাল উদ্দিন, গোলাম শরিফের ছেলে নুরুল বশর, চেপটখালীর আবুল কালাম, মাদারবুনিয়ার শফিকুর রহমানের ছেলে আব্দুল জলিল (২৫), মোঃ আব্দুল্লাহর ছেলে মোঃ হারেছ (৩২) মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে মোজাম্মেল হক, মৃত আব্দুল্যার ছেলে আবু তাহের, মোঃ ইউনুছের স্ত্রী রোকসানা আক্তার, মোঃ জাফরের ছেলে আব্দুল জলিল, মোজাহের মিয়ার ছেলে মোঃ উল্যাহ, চোয়াংখালী গ্রামের, জাহেদুল আলম, বর্মাইয়া হাশেম মাঝি, শামশুল আলমের ছেলে রুবেল, আব্দুল¬াহর ছেলে আব্দুল আজিজ, ছৈয়দুর রহমানের ছেলে আব্দুর রহিম, আবুল কাছিম প্রঃ সুদি কাছিমের ছেলে মনজুর আলম, মোঃ আলমের ছেলে আবু তাহের, মৌলভী বদিউজ্জামানের ছেলে করিম উল¬্যাহ, আব্দুল মালেকের স্ত্রী মরিয়ম খাতুন, শফি আলমের স্ত্রী রহিমা খাতুন, মোঃ হোছনের ছেলে ভুলু, চোয়াংখালী জামে মসজিদের খতিব মৌলভী হাফেজ আব্দুস ছালাম, তার ছেলে আজিজুল ইসলাম, সোনার পাড়ার নুরুল কবিরের স্ত্রী রেবেকা সুলতানা রেজি, রতœাপালং ইউনিয়নের গয়ালমারা গ্রামের রোস্তম আলী বৈদ্যের ছেলে আনোয়ার ইসলাম প্রঃ আনোয়ার ড্রাইভার ওরপে ডঙ্গী আনোয়ার, পূর্ব সোনার পাড়া বড় পাড়ার হাজী হোছন আলীর ছেলে আব্দুর রশিদ, সোনার পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের পার্শ্বে বাড়ী বদিউল আলমের ছেলে নুর হোছন, পূর্ব সোনার পাড়া গ্রামের কালা মন্টুর ছেলে নুরুল কবির, সোনাইছড়ি গ্রামের মৃত ইউছুপ আলীর ছেলে রোস্তম আলী, সোনার পাড়া গ্রামের অজি উল্যাহর ছেলে কাউছার আহম্মদ জনি, ওমর সওদাগরের ছেলে আলমগীর হোছন রানা, পশ্চিম সোনাইছড়ি গ্রামের মৃত রশিদ আহম্মদের ছেলে সাগর, আবু ছৈয়দের ছেলে মাহাদু, নুর মোহাম্মদের ছেলে আহম্মদ শরিফ, মৃত হোছন আলীর ছেলে শাহ আলম, মৃত রশিদ আহম্মদের ছেলে আব্দুল¬াহ, আব্দুল জলিলের ছেলে লাল মাঝি, মৃত মোজাফ্ফর আহম্মদের ছেলে রাসেল, ফজল আহম্মদের ছেলে শামশু আক্তার, উত্তর সোনাইছড়ি গ্রামের হাবিব উল¬াহর ছেলে জয়নাল উদ্দিন জুনু, আমির হামজার ছেলে ছৈয়দ আলম, সুলতান আহম্মদের ছেলে মুজিবুল হক, সোনার পাড়ার জমির আহম্মদ প্রঃ কালা জমির, সোনাইছড়ি গ্রামের শফি আলম, জমির আহম্মদ, আবু ছিদ্দিক, শামশুল আলম সোহাগ, লম্বরী গ্রামের ছৈয়দ আলম তাবাইয়া, বেলাল প্রঃ লাল বেলাল, উখিয়ার রূপপতি গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে জমির মিয়া, গফুর মিয়া (৩৮), কুতুপালং শরনার্থী ক্যাম্পের সেকান্দরের ছেলে আবু ছৈয়দ (২৬), আবু ছিদ্দিক (৩০), চোয়াংখালী গ্রামের শামশুল হকের ছেলে ছলিম উল¬্যাহ (৩০), জালিয়া পালং ডেইল পাড়া গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে মোঃ আবু তাহের (৩৫), আহম্মদ হোছনের ছেলে জসিম উদ্দিন (২৮), রফিক উল্য¬াহ (৩০), রহমত উল্যাহ (৩২), সোনার পাড়া গ্রামের মির আহম্মদ প্রঃ মিরু বলির ছেলে মোঃ শফিউল আলম (৩০), নাজির হোছন প্রঃ নাজুর ছেলে জয়নাল আবেদিন (২৮), শামশুল আলমের ছেলে জালাল উদ্দিন (২৮), মৃত কাদের হোছন বৈদ্যর ছেলে নুরুল কবির (৪০), নুরুল কবিরের ছেলে নুরুল আবছার (২০), বশির আহম্মদের ছেলে নজরুল ইসলাম (২৫), মোঃ ইলিয়াছের ছেলে সাগের আলী প্রঃ সাগর (৩০), নুরুল আলম মাঝি মোঃ আলম (৩৫), সোনাইছড়ি গ্রামের মোঃ সোলতান প্রঃ হাতী সোলতানের ছেলে জিয়াউল হক (৩৮), শফি আলম (৩৮), টেকনাফের লেদা ক্যাম্পের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে নুর হোছন (২৪), মৃত জমির হোসনের ছেলে মোঃ নাগু (৩৫), নাজির পাড়া গ্রামের মৃত মনি উল¬্যাহর ছেলে কামাল (৩০), কুতুপালং শরনার্থী ক্যাম্পের রশিদ আহম্মদের ছেলে কেফায়েত উল¬াহ (২৬) নুর মোহাম্মদের স্ত্রী নুর কায়দা বেগম (২২) মৃত নুর আহম্মদ এর স্ত্রী মাবিয়া খাতুন (৪৫), নুর মোহাম্মদ, মৃত ফোরকান আহম্মদের ছেলে রবিউল আলম (২২), মৃত ফারুক আহম্মদের ছেলে ছৈয়দ আমিন (২৭), হাছু মিয়ার ছেলে হামিদ হোসেন (২২), জাফর আহম্মদের ছেলে আরিফ উল¬্যাহ (২০), শফি উল¬্যাহর ছেলে ছৈয়দ কাশেম (১৯), শফিউর রহমানের ছেলে আবু আহম্মদ (৩৫) ছৈয়দ আলম (৬০), মোক্তার আহম্মদের ছেলে জিয়াবুল হক প্রঃ বাবুল (২৬) কামাল হোছনের ছেলে রশিদ উল্য¬াহ (২০), উলা মিয়ার ছেলে মোঃ কালু (২০), আলী আহম্মদের ছেলে দিল মোহাম্মদ (৩৮), আমিন উল্য¬াহ প্রঃ নাগুর ছেলে মোঃ ফারুক (১৯), শামশুল আলমের ছেলে জোবাইর হোসেন (২০), কক্সবাজার কালুর দোকান এলাকার রোহিঙ্গা মোঃ জুহারের ছেলে মনজুর আহম্মদ (১৮), মৃত কালা মিয়ার ছেলে কাশেম (৪০), জাহিদ হোছনের ছেলে আবুল কালাম (২৬), চট্টগ্রাম কর্ণফুলি চিরার টেক গ্রামের রোহিঙ্গা মোঃ আজিম (৩৬), টেকনাফের কলিম উল্যাহ সওদাগরের ছেলে তোফাইল, আব্দুল হাই প্রঃ আব্দুল খাইর, মোঃ ভুট্টো, শাপলাপুর পুরান পাড়ার শফি উল¬্যাহর ছেলে আশিক উল্য¬াহ (২০), শহীদুল¬্যাহ (৩২), মৃত হাবিব উল্য¬াহর ছেলে শফি উল¬্যাহ (৬০), টেকনাফ উপজেলার কাটাবনিয়া গ্রামের ছৈয়দ আহম্মদের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, মৃত লাল মিয়ার ছেলে মোঃ রফিক, আব্দুল মাজেদের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, মোজাহের মিয়া, বাহারছড়া হলবনিয়া গ্রামের জাফর আলমের ছেলে নবী হোছন (৩৮) তার পিতা জাফর আলম (৬০) শামলাপুর পুরান পাড়ার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে শফি উল¬াহ (৫৫) যশোর ঝিকর গাছা গ্রামের আজিজুল (৩৮) নরসিংদীর চর আড়ালিয়া গ্রামের এমরান, মোমেন (৩৫), মাদারবুনিয়ার আব্দুল জলিল, লম্বরী পাড়ার বেলাল প্রঃ লাল বেলাল (৩৫), পশ্চিম সোনার পাড়ার জালাল উদ্দিন, মাগুরা জেলার শালিকা গ্রামের মোঃ ইসমাইলের ছেলে মোঃ হাকিম, রামু থানার খুনিয়া পালং গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে মাহমুদুল হক (৩৫), মোঃ কালুর ছেলে নুরুল কবির বাদশা (৩৮), পশ্চিম সোনাইছড়ি গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে মুজিবুল হক (৪০), জুম্মাপাড়া গ্রামের বেলাল মেম্বার, আব্দুস ছালাম প্রঃ লম্বা ছালাম, নুরুল আলম নুরু, দক্ষিণ পাইন্যাশিয়ার জয়নাল আবেদিন, থাইংখালী উত্তর রহমতের বিল গ্রামের মোহাম্মদ বলি প্রঃ মাদু বলি কলিম উল¬্যাহ বলি (৪২), আবুল হোছনের ছেলে সাহাব উদ্দিন (৪০), সিকান্দর মিয়ার ছেলে নবী হোছন (৩৫) মালয়েশিয়া প্রবাসী আব্দুর রশিদের স্ত্রী লুৎফুর নাহার, হলদিয়া নলবনিয়া গ্রামের পেটান আলীর ছেলে রশিদ আহম্মদ প্রঃ ভুলু (৪৫), ইউছুপ আলীর ছেলে তোফাইল মিয়া (৪৫) হলদিয়া নাছির পাড়ার মৃত দুদু মিয়ার ছেলে ছিদ্দিক আহম্মদ (৫০), মৃত রশিদ আহম্মদের ছেলে ছৈয়দ হোছন (৪০) পূর্ব মরিচ্যা গ্রামের মৃত সাহাবউদ্দিনের ছেলে আনোয়র ইসলাম ভুলু (৩৫), জয়নাল উদ্দিন প্রঃ ধলু (২৩) রুমখা মাতবর পাড়া গ্রামের ছালেহা বেগম (৪৫), শাহ আলম (৪০), মোঃ ইউনুছ (২৩), আব্বাছ উদ্দিন (২৪), শাহানু আক্তার (২৫) কামারিয়ার বিল গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে জামাল মিয়া (২৮), রশিদ আহম্মদ (২৩), মৃত আনজুমিয়ার ছেলে সোলতান মিয়া (৬০), বাদশা মিয়ার ছেলে ফিরোজ মিয়া (৪৫) উখিয়ার শীলের ছড়া গ্রামের মৃত মোহন বাশির ছেলে ফেনন্দ বড়–য়া (২৫) তুতুরবিল গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে ইমাম উদ্দিন (২৫), জয়নাল উদ্দিন (২৮), পালংখালী ফারির বিলগ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে মোঃ ইউনুছ (২৮), পশ্চিম সোনার পাড়ার মৃত আনজু মিয়ার ছেলে আব্দুর রহিম প্রঃ ভুতাইয়া (৪০) রাজাপালং কাশিয়ার বিল গ্রামের রকু ঘোষ (৬০), কর্ণ ঘোষ প্রঃ কালু (৩০) উত্তর ধুরুমখালী গ্রামের ক্ষিরনদ্র শর্মা (৬০) মেধুনী বালা শর্মা (৫৫) জালিয়া পালং রূপপতি গ্রামের আজগর আলীর ছেলে ছৈয়দ উল¬াহ (২৬), শামশুল আলমের ছেলে নুরুল আমিন (১৯) হলদিয়া পাতাবাড়ী গ্রামের মৌলভী আজমত আলীর ছেলে নুরুল হক (৩৫), মৃত নুর আহম্মদের ছেলে কাদির হোছন (৩০), রজ্জক উদ্দিন (২৫) সোনার পাড়ার মির আহম্মদের ছেলে জোহার ওরপে ছৈইয়া (২৮), আজিজ উল্লাহর ছেলে মোঃ জনি (২৯) উত্তর পুকুরিয়াগ্রামের কামাল উদ্দিন (২৪), জামাল উদ্দিন (২২) শহর আলী (৫০), বদিউল আলম (৪৫), চাকবৈঠা গ্রামের মোঃ আলম প্রঃ আলম মাষ্টার (৫৮) ওমর ফারুক (২৪) বড় ইনানী গ্রামের আবুল কালাম মাঝির ছেলে ছৈয়দ করিম (৩০), কুতুপালংগ্রামের মৃত লেডু বড়–য়ার ছেলে জয়ন্ত বড়–য়া (৫৫) সহ শক্তিশালী সিন্ডিকেট। তাদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে মানব পাচারে জড়িত থাকার অপরাধে মামলা থাকেলেও তারা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে এসে কৌশলে মানব পাচার করে যাচ্ছে নির্ভিগ্নে।